জামায়াতের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে ভাঙনের আশঙ্কা করছেন শরিক দলগুলোর শীর্ষনেতারা। তারা বলছেন, অন্তর্দ্বন্দ্বের পাশাপাশি সরকারের লোভনীয় প্রস্তাব নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে জোটের ঐক্যে। তবে বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, সরকারের প্ররোচনায় জোট ছাড়লে জাতীয়তাবাদী শক্তি নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হবে জামায়াতই।
সিলেট সিটি নির্বাচনে ২০দলীয় জোটের পক্ষে বিএনপি দলীয় একক প্রার্থী দেয়ার পরিকল্পনা থাকলেও জামায়াত আলাদা করে প্রার্থী দেয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে জোটের বৈঠকে দফায় দফায় দেন-দরবার হলেও নির্বাচনে নিজস্ব প্রার্থী রাখার ব্যাপারে অনড় থাকে জামায়াত।
একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে জামায়াত প্রার্থীর সখ্যতা নিয়ে কানাঘুষা, জামায়াতের আমিরের কারামুক্তি ও দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগে যোগদান নিয়ে শুরু হয়েছে হিসাব-নিকাশ, জল্পনা-কল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে, এসব কি তাহলে জামায়াতের জোট ত্যাগের আলামত?
বিভিন্ন সমীকরণ বিবেচনায় জোটের শরীক দল কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহীম এমনই অাভাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জামায়াতকে বোঝাতে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা জামায়াতকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। জামায়াত উত্তর দিয়েছে তারা তাদের হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা করবে। নির্বাচনের আগে বড় দুটি দলের বাইরের দলগুলোর কাছে অনেক লোভনীয় প্রস্তাব আসবে।
বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ মনে করেন, এই মুহূর্তে জোট ছাড়লে মূল্য দিতে হবে জামায়াতকেই। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে তারা মাত্র তিনটি আসন পেয়েছিল। কিন্তু জোটবদ্ধভাবে তারা ১৭টি আসন পেয়েছিল। তাদের ভাবতে হবে তারা কম আসন চায় নাকি বেশি আসন।
জোট ভাঙলেও ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য মুহাম্মদ ইবরাহীমের।
তবে ভোটের রাজনীতির স্বার্থেই ক্ষমতাসীনরা জামায়াতকে জোট থেকে সরাতে চাইছে বলে মন্তব্য করেছেন মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, সরকার আগে বলেছে জামায়াতকে ছেড়ে আসলে কোনো সমস্যা নেই। এখন দেখা যাচ্ছে, জামায়াতের লোকজনই আওয়ামী লীগে যোগদান করছে, এতে আবার তাদের কোনো সমস্যা নেই। সরকার সবসময়ই দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করে আসছে।
আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে জোটের ঐক্য টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে এখনো আশাবাদী মওদুদ।
সূত্র: সময় নিউজ